পার্বত্যাঞ্চল::খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ত্রিশ কোটি টাকার গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) গুইমারা সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দুর্গম চৌধুরীপাড়া এলাকায় দুই একর জমিতে নিষিদ্ধ গাঁজার বানিজ্যিক চাষ করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল আমিন এর নেতৃত্বে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব চৌধুরীরসহ মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের সদস্যরা এসব গাঁজা ক্ষেত কেটে ধ্বংস করে দেয়। আনুমানিক ৩০ হাজার কেজি গাঁজা ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ত্রিশ কোটি টাকা।
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় প্রায় ৩ একর জায়গার উপর চাষ করা গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন। এসময় প্রায় ৩ হাজার গাছ কেটে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয় প্রশাসন। যার আনুমানিক ওজন ৩০ হাজার কেজি, মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।
দূর্গম পাহাড়ে মাদকের বিস্তার ঘটাতে ব্যবসায়ীরা নির্জনে একের পর এক পাহাড়ী জমিতে গাঁজার চাষ করে আসছে। এমন একটি এলাকায় মাদকের বিস্তার রোধে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও খাগড়াছড়ি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম ।
এর আগে সকালে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব চৌধুরী বলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন সচেষ্ঠ আছে। কোন ধরনের মাদকের সাথে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না। যে বা যারা যুব সমাজ ধ্বংসের জন্য মাদকের বিস্তারের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সজাগ রয়েছে প্রশাসন।
গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আরিফুল আমিন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ৩ একর জায়গার উপর চাষ করা গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় প্রশাসন। এতে যে গোষ্ঠিই জড়িত থাক তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসন কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়ভাবে অপরাধ রোধে মাঠে কাজ করছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, অপরাধীদের বিষয়ে সজাগ থেকে মাদক কারবারীদের নিমূলে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply