1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
হামাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পুতিনের একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার মোংলায় ২০০ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা দিলো কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন বটিয়াঘাটায় সড়ক দূর্ঘটনায় ১জন নিহত ভোলায় কোস্টগার্ডের চিকিৎসা সহায়তা পেল ৩৬০ অসহায় মানুষ খুলনা পাবলিক কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ-১৪৩২ উদযাপন বাগেরহাটে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান খুলনা নগরীর বিভিন্ন সড়কের নির্মাণ-সৌন্দর্যবর্ধন কাজের গতি আনতে সভা অনুষ্ঠিত ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল হামাস

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক:: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়লো আফগানিস্তান। বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে আফগানরা অর্জন করলো এই কৃতিত্ব।

পরিবর্তিত লক্ষ্য ১১৪ রানও করতে পারলো না টাইগাররা। অলআউট হলো ১০৫ রানে।

বাংলাদেশকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকেও সুপার এইট থেকে বিদায় করে দিলো আফগানিস্তান। অথচ সেমিতে ওঠার দারুণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশেরও। সুযোগটা নিতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

এবার বাংলাদেশকে হারিয়ে স্বপ্ন সত্য করলো রশিদ খানের দল।

সেমিতে যেতে হলে ১২.১ ওভারে আফগানদের করা ১১৫ রানের চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে হবে। শুরুটাও তেমন মারমুখী করেছিলো বাংলাদেশ; কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটাররা পারলেন না বিগ শট খেলতে। পারলেন না দ্রুত রান তুলতে। যার ফলে ১২.১ ওভার কিংবা ১৩ ওভারের মত জয়ও হলো না টাইগারদের।

সুপার এইটের প্রথম দুই ম্যাচ বাজে খেলেও সেমিফাইনালে ওঠার দারুণ সুযোগটা পেয়েও কাজে লাগাতে পারলো না টাইগাররা। তানজিদ তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয় কিংবা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- কেউই আফগান বোলারদের সামনে একটু বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারলেন না।

একপ্রান্তে লিটন দাস দাঁড়িয়ে থেকে বেশ ভালোভাবে চেষ্টা করেছিলেন রানকে এগিয়ে নিতে। কিন্তু লাভ হয়নি। অন্যদের ব্যর্থতায় সেমিতে ওঠা হলো না।

শুধু ১২.১ ওভারে জয়ই নয়, ম্যাচটাই জিততে পারলো না শেষ পর্যন্ত। মাঝে দু’বার বৃষ্টির কারণে এক ওভার কেটে ১৯ ওভারে ১১৪ রানের লক্ষ্য দেয়া হয়। ১৭.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে।

বাংলাদেশের ওপেনিংয়ের সমস্যা কাটছেই না। একজন ব্যাটারও ছন্দে নেই। লিটন দাস, সৌম্য সরকারের কথা বলা হয়, তারা ফর্মে নেই।

কিন্তু যে তানজিদ হাসান তামিমের ওপর আস্থা রেখেছিলো টিম ম্যানেজমেন্ট, সেই তামিমই একের পর এক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। আবারও শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে এ নিয়ে তিনবার শূন্য রানে আউট হলেন এই তরুণ ওপেনার।

১২.১ ওভারে ১১৬ রান করার লক্ষ্যেই শুরু থেকে মারকুটে ব্যাট করা প্রয়োজন বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের। লিটন দাস শুরুটা করলেন তেমনই। কিন্তু তানজিদ হাসান তামিম কী করলেন?

মারমুখী হওয়া তো দুরে থাক, রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে ফজল হক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন কোনো রান না করেই। দলীয় রান ছিল এ সময় ১৬। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক। তিনিও গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে নিজের ব্যাটকে মেলে ধরবেন। একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেনও।

কিন্তু নাভিন-উল হকের বলে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি মাত্র ৫ রান করে। এরপর মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের তকমাধারী এই ক্রিকেটারের কাছেও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার প্রত্যাশা ছিল সবার।

কিন্তু তিনি মারলেন গোল্ডেন ডাক। নাভিন-উল হকের প্রথম বল মোকাবেলা করতেই রিটার্ন ক্যাচ দিলেন তিনি। ২৩ রানে পড়লো বাংলাদেশের ৩ উইকেট। এরপর সৌম্য সরকার ১০ বল খেলে আউট হলেন ১০ রান করে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়েছিলেন। অন্যদের ব্যর্থতায় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না। রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন

তাওহিদ হৃদয়ের ওপর প্রত্যাশার পারদ ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ব্যাট করতে এসে এলোমেলো শট খেলতে শুরু করেন। রানআউট থেকে বাঁচলেন, ক্যাচ ছেড়ে দিলো আফগান ফিল্ডাররা, বল ঠেলে বাউন্ডারি বানিয়ে দিলো। তবুও তাওহিদ আজ হৃদয় জিততে পারেননি। ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হলেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও একই অবস্থা। যত বড় মাপের খেলোয়াড়ই হোক না কেন, চাপই নিতে পারেন না যেন। ৯ বলে ৬ রান করে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে আউট হলেন তিনি।

রিশাদ হোসেন দেশের মাটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দেখিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে বোলার রিশাদকে ভালোভাবে চেনা গেলেও ব্যাটার রিশাদকে খুঁজে পাওয়া গেলো না। প্রথম বলেই বোল্ড হলেন তিনি রশিদ খানের বলে।

তানজিম সাকিব ১০ বলে ৩, তাসকিন আহমেদ ৯ বলে ২ রান করে আউট হন। নাভিন-উল হকের বলে ১৭.৫ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান এলবিডব্লিউ হতেই বিজয়ের আনন্দে দৌড় শুরু করেন আফগান ক্রিকেটাররা। নাভিন উল হক ও রশিদ খান নেন ৪টি করে উইকেট। ১টি করে নেন ফজলহক ফারুকি এবং গুলবাদিন নাইব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
Theme Customized By BreakingNews