স্পোর্টস ডেস্ক:: আইসিসির বৈশ্বিক আসরে অষ্টমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলতে নেমে আফগানদের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় জয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের দেখা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিকে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে আফগান ক্রিকেটাররা রূপকথা তৈরি করলেও অগ্রযাত্রার দেখা মিলেনি তাদের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৫৬ রানে আফগানদের অল আউট করে প্রোটিয়ারা। জবাবে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৬৭ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগের বৈশ্বিক আসরের সাত সেমিফাইনালের সবগুলোতে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। এ জন্য তারা পেয়েছে চোকার্স তকমা। তবে এবার আর তা হয়নি। আগামী ২৯ জুন (শনিবার) প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৭২ রান। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের ৭২ রানে অলআউট করে ছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে নকআউট পর্বের ম্যাচেও এটি সর্বনিম্ন স্কোর।
এদিকে ২০২৩ সালে আফ্রিকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনস কাপে শেষ চারের লড়াইয়ে বতসোয়ানাকে ৬২ রানে অলআউট করেছিল উগান্ডা।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমির স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। দুর্দান্ত ফর্মে দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান দুজনের। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জুটি টিকেছে মাত্র ৩ বল। মার্কো ইয়ারসেনের বলে স্লিপে গুরবাজের ক্যাচ লুখে নেন রিজা হেন্ডরিক্স। গুলবাদিন নাইবকে বোল্ড করেন ইয়ারসেন
পরে ইব্রাহিম ও মোহাম্মদ নবিকে ফিরিয়ে কাগিসো রাবাদার জোড়া উইকেট মেডেন। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৮ রানে সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের পাঁচ আফগান ব্যাটার।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারে নি আফগানিস্তান। পেসারদের দাপটের পর তাবরিজ শামসির ঘূর্ণিতে দ্রুত অলআউট হয়ে যায় আফগানরা।
ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে। একমাত্র আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১০) পেয়েছে দুই অঙ্কের দেখা। ইয়ারসেন ও শামসি নেন ৩টি করে উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন রাবাদা ও অনরিখ নর্কিয়া।
জবাবে কুইন্টন ডি কর্কের (৫) উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। রিজা হেন্ডরিক্স ২৯ এবং অধিনায়ক এইডেন মার্করান ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।