1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৪ অপরাহ্ন

৪৩ লাখ কার্ড বাতিল নয়, স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে-টিসিবির মুখপাত্র

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক:: সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ৪৩ লাখ পরিবার বা ফ্যামিলি কার্ড বাতিল করা সংক্রান্ত খবরের একটি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, কার্ড বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়।

আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে কথা বলেন হুমায়ুন কবির। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ৪৩ লাখ কার্ড বাতিলের খবর প্রকাশিত হয়।

বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে হুমায়ুন কবির বলেন, এক কোটি পরিবার কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এখন তথ্য হালনাগাদ ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে কোনো কার্ডে অনিয়ম ধরা পড়লে সেই কার্ড বাতিল করা হবে।

হুমায়ুন কবির জানান, কার্ডগুলোকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তরে তথ্য হালনাগাদ করতে টিসিবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে চারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে কার্ডধারীদের তথ্য পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জনসহ (যদি প্রয়োজন হয়) হালনাগাদ বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনে সাম্প্রতিক রদবদলের কারণে টিসিবির হাতে এসব তথ্য আসতে সময় লাগছে। তাই বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে সময় লাগছে। ফলে এখন পুরোনো কার্ডেই পরিবারগুলোর কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এখন এক কোটি কার্ডধারী সবাইকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অনিয়মের খবর আসছে। এক ব্যক্তি একাধিক জায়গায় এই কার্ড দিয়ে পণ্য নিচ্ছেন, এটি হচ্ছে মূল অভিযোগ। পরিবার কার্ডের এসব সমস্যা দূর করতে এক পরিবারে যেন এক ব্যক্তির বেশি কেউ কার্ড না পান তা নিশ্চিত করতে স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হচ্ছে।

টিসিবির ট্রাকের পণ্য অনেক মানুষ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কিনতে পারছেন না বলে সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। এমনটা কেন হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, নির্দিষ্টসংখ্যক পরিবারের জন্য পণ্য বরাদ্দ থাকে। প্রতিটি স্থানে বরাদ্দ থাকে ৩৫০ জনের জন্য পণ্য। পরিবেশকদের ৩৫০টি টোকেন দিতে বলা হয়েছে। এর বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। যারা টোকেন পাবেন না, তারা সেদিন পণ্য পাবেন না। ফলে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ থাকলে বাকিদের পরের দিন আসতে বলা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
Theme Customized By BreakingNews