বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি:: বটিয়াঘাটা থানার পাশেই একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। সোমবার ভোর ৫ টার দিকে থানা সংলগ্ন কিসমত ফুলতলা সিলিন্দামারী গ্রামের আলহাজ মোদাচ্ছের হোসেনের বাড়িতে এ ডাকাতি সংগঠিত হয়। এসময় সংঘবদ্ধ ডাকাতরা নগদ ৮২ হাজার টাকা ৮-১০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সকালে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ ও স্থানীরা জানান, উপজেলার কিসমত ফুলতলা এলাকার বাসিন্দা আলহাজ মোদাচ্ছের হোসেন ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য ওযু করতে ঘুম থেকে উঠেন। এ সময়ে তিনি ঘরের দরজা খুলতে গেলে বাইরে দাড়িয়ে থাকা ১০/১২ জন লোক দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। তখন ওই দুস্কৃতিকারীরা মোদাচ্ছেরের গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে তাকে দোতলায় নিয়ে যায়। কলিং বেল বাজানোর পর মোদাচ্ছের শেখের ছেলে শামীম আল মামুন দরজা খুলে দিলে ওই দুস্কৃতিকারীরা পরিবারের সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারী থেকে ১০/১২ ভরি ওজনের স্বর্ণের অলংকার, নগদ ৮২ হাজার টাকা, দু’টি মোবাইল ফোন এবং আলমারিতে থাকা কাপড় চোপড় লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১২-১৩ লাখ টাকা। সকালে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মো: শামীম আল মামুনের পিতা আলহাজ মো: মোদাচ্ছের আলী জানান, ফজরের আযান দিলে তিনি নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময়ে কয়েকজন লোক দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছেলের ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। সকালে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া খবর পেয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ভূক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন। এব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা খায়রুল বাশার ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীরা মৌখিকভাবে থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন। পুলিশের মোবাইল টিম লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করছে। অপরদিকে একই রাতে উপজেলার কাতিয়ানাংলা বুঝবুনিয়া এলাকার কাজীবাছা নদীতে ড্রেজারে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে এবং ড্রেজারে থাকা মালামাল লুট করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।