1. dailybanglarkhabor2010@gmail.com : দৈনিক বাংলার খবর : দৈনিক বাংলার খবর
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সুন্দরবনে অস্ত্র গুলিসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক আমাদের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা হামাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পুতিনের একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার মোংলায় ২০০ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা দিলো কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন বটিয়াঘাটায় সড়ক দূর্ঘটনায় ১জন নিহত ভোলায় কোস্টগার্ডের চিকিৎসা সহায়তা পেল ৩৬০ অসহায় মানুষ খুলনা পাবলিক কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ-১৪৩২ উদযাপন বাগেরহাটে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান

কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সস্তা বিনোদনে ভরপুর: রিজভী

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক::বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার বাচালতাপূর্ণ এবং চটুল কথার দ্বারা নিজেদের অপকর্ম ও দখলদারিত্বের পাপ আড়াল করার চেষ্টা করতে গিয়ে আওয়ামী কলঙ্ক আরও তীব্র হয়ে ওঠে। কারণ রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপের ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর।

আজ দুপুরে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন,‘এই ভদ্রলোককে (ওবায়দুল কাদের) দেখলাম, বর্তমান বিনাভোটের সরকার প্রধানের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লেখা একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। কাদের সাহেব বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‍‍`এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে?’ ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার এই উল্লাসেই প্রমাণিত হয়—আওয়ামী সরকারের গণভিত্তি ধ্বসে গিয়ে এর নেতারা আত্মমর্যাদা হারিয়ে ফেলেছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন,বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস্য দেশের জনগণ। গত অক্টোবর ২০২৩ সালে ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, ‘আপস হয়ে গেছে। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরাও আছি।’ এই কথার অর্থ দেশের জনগণ নয় পরগাছা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকে আছে দিল্লির করুণার উপর। আওয়ামী লীগের চিরাগত ঐতিহ্যই হচ্ছে নিজ দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা। বিএসএফের গুলিতে বিজিবি মারা গেলেও আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।

তিনি আরো বলেন, বান্দরবানের নাইখ্যাংছড়িতে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। সীমান্তে বাংলাদেশী এলাকায় নারী—পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। জীবন যাচ্ছে মর্টারের সেলে। বাংলাদেশের চারিদিকে সীমান্ত এলাকায় এখন রক্তক্ষয়ী খেলা চলছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ছোঁড়া অস্ত্রের আঘাতে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত। পাশ্বর্বর্তী দেশ বার্মা থেকে দলে দলে লোক এবং অস্ত্র বাংলাদেশে অনুপ্রবিষ্ট হচ্ছে। আর বাংলাদেশ সরকারের অভিসন্ধিপ্রসূত নীরবতা মূলত দেশের মানুষকে নতজানু করার এক গভীর চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির বাণী এখন দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রতিদিনই পিছু হটছে আর তাতে বাংলাদেশের মানুষ বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত এবং জনগণ ছিল নিরাপদ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম,তারিকুল আলম তেনজিং, ওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত দৈনিক বাংলার খবর
Theme Customized By BreakingNews